
পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৭ চৌকস কর্মকর্তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে শায়িত বিডিআর বিদ্রোহের ওই বীর শহীদদের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামির আমীর শহীদদের রেখে যাওয়া পরিবার-পরিজনের ধৈর্য্য ধারণ এবং শান্তির জিন্দেগী কামনা করেন।
এ সময় আমীরে জামায়াতের সঙ্গে ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সিলেটের প্রতিষ্ঠিত দৈনিক জালালাবাদ এর সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক মুকতাবিস-উন-নূর, সিলেট-২ আসনে (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল হান্নান প্রমূখ। উল্লেখ্য, বনানী সামরিক কবরস্থানে শায়িত ডা. শফিকুর রহমানের শ্বশুর ডা. আজির উদ্দিন এবং সদ্য ইন্তেকাল করা শ্বাশুড়ি আয়েশা আহমদের কবরও জিয়ারত করেন।
তিনি তাদের রুহের মাগফিরাত এবং রেখে যাওয়া সন্তানাদি তথা বৃহত্তর পরিবারের নেক আমলের ওপর চলা এবং রাখার জন্য মা’বুদের দয়া কামনা করেন।
এদিকে দিনের শুরুতে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সদ্য প্রয়াত স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদের উত্তরার বাসভবনে যান। সেখানে তিনি মরহুমের স্মৃতিবিজড়িত লাইব্রেরি (বাসায়) ও পড়ার কক্ষে খানিকটা সময় কাটান। সাত দশকের বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ড. তোফায়েল জীবন সায়াহ্নে অন্তবর্তী সরকার অর্পিত দায়িত্ব স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ছিলেন। তিনি এ সংক্রান্ত সংস্কারের বিস্তৃত সুপারিশ রেখে গেছেন, যা তার জীবদ্দশায় বাংলায় মুদ্রিত হয়েছে। আমীরে জামায়াত সেই সুপারিশ বুকের কপিটা নেড়েচেড়ে দেখেন।
এ সময় মরহুমের সহধর্মীনি মাসুদা আক্তার চৌধুরী, একমাত্র কন্যা সাদিয়া আহমেদ এবং নাতনি সাজফা বিনতে সরওয়ারের খোঁজ-খবর নেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ গত ৮ই অক্টোবর রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আগের দিন তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
Leave a Reply