নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের বিভিন্ন এলাকায় জনমত জরিপে উঠে এসেছে, সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে অসামান্য ভূমিকা রাখায় জনগণ গোলাম মর্তুজাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি হিসেবে দেখতে চায়।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আসছেন। গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের সহায়তা, রাস্তা-ঘাট সংস্কার, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান, মাদ্রাসা-মসজিদ উন্নয়নসহ নানাবিধ সামাজিক ও মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন।

তিনি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। তার ঘোষিত লক্ষ্য অনুযায়ী—

২০৪০ সালের মধ্যে চাটখিল-সোনাইমুড়ীতে কেউ গৃহহীন থাকবে না। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ৩৯টি ঘর হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে।

কেউ চিকিৎসাহীন মৃত্যুবরণ করবে না। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রায় এক লক্ষাধিক মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন এবং জনপ্রিয় ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করেছেন।

শূন্য নিরক্ষরতার লক্ষ্যে তিনি ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করছেন, শত শত শিক্ষার্থী পেয়েছে স্কলারশিপ।

কোনো অদক্ষ জনশক্তি থাকবে না। তরুণদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করছেন।

কেউ ভিক্ষুক থাকবে না। অসহায়দের অর্থ ও কর্মসংস্থান সহায়তার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করছেন।

পাশাপাশি, আদর্শ বাবা-মা ও আদর্শ সন্তান তৈরির লক্ষ্যে হাজারো অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর জন্য ফ্রি প্যারেন্টিং কোর্স আয়োজন করেছেন।

তার এই কার্যক্রমকে “৫-জিরো প্রকল্প” নামে অভিহিত করা হচ্ছে, যার লক্ষ্য— নিরক্ষরতা, গৃহহীনতা, চিকিৎসাহীন মৃত্যু, অদক্ষ জনশক্তি ও ভিক্ষাবৃত্তি মুক্ত একটি মডেল চাটখিল-সোনাইমুড়ী গড়ে তোলা।

এলাকার সচেতন মহল বলছে, জনসেবাকেই মূল লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন গোলাম মর্তুজা। তাদের মতে, তিনি এমপি হলে এলাকার উন্নয়ন আরও গতিশীল হবে এবং মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে এমপি প্রার্থী হবেন কিনা—এমন প্রশ্ন করলে গোলাম মর্তুজা বলেন,
“জনসেবাই আমার মূল লক্ষ্য। জনসেবা করতে যা করার প্রয়োজন আমি তাই করবো। চাটখিল আমার মায়ের জন্মস্থান, সোনাইমুড়ী আমার বাবার জন্মস্থান—এই দুই এলাকাকে কেন্দ্রবিন্দু করে আমি কাজ করছি। আমার কাজের গতিকে আরও বেগবান করতে যদি আল্লাহর ইচ্ছে থাকে, আল্লাহ আমাকে সাহায্য করেন, তাহলে আমি জনগণের খেদমতে সর্বদা প্রস্তুত আছি।”

শিক্ষাবিদ গোলাম মর্তুজা আরও বলেন,
“আমি যদি সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হই, তাহলে আমাকে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হবে, পরিবার ত্যাগ করতে হবে, নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু ছেড়ে সাধারণ জনগণের সেবায় নিয়োজিত হতে হবে। এত বড় ত্যাগ তখনই সম্ভব হবে, যদি আল্লাহ সাধারণ জনগণের জন্য আমাকে কবুল করেন এবং আমার দ্বারা সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কাজ করান।”

স্থানীয় জনগণ মনে করেন, ফাউন্ডেশন পরিবার থেকে যদি গোলাম মর্তুজা নির্বাচনে প্রার্থী হন তবে চাটখিল-সোনাইমুড়ীর রাজনীতির সমীকরণ পাল্টে যেতে পারে, নোয়াখালী-১ আসনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে। কারণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে তার কাজ, গ্রহণযোগ্যতা ও মাঠপর্যায়ের প্রভাব এখন যেকোনো দলের চেয়েও বেশি আলোচিত।

জনগণের দাবী “সমাজকর্মী জনাব গোলাম মর্তুজার এ সমাজসেবাকে আরও গতিশীল করতে, আরও অধিক মানুষকে সহায়তার আওতায় আনতে আমরা তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই।