আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং বিগত দিনের আন্দোলনের পরীক্ষিত নেতা মামুনুর রশিদ মামুনকে দেখতে চান দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় রাজপথের আন্দোলনে তাঁর সাহসী নেতৃত্ব ও দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কারণে তিনি ইতোমধ্যেই স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের কাছে আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছেন।

ছাত্র জীবন থেকেই ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে রাজনীতিতে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন মামুনুর রশিদ মামুন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় একের পর এক মামলা, হামলা, জেল-জুলুম ও নির্যাতন মোকাবিলা করে রাজপথে থেকে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন এই নেতা। শুধু তাই নয়, প্রতিকূল সময়েও চাটখিল-সোনাইমুড়ি এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। স্থানীয় তরুণ প্রজন্ম মনে করে, আগামী দিনে সংসদ সদস্য হিসেবে মামুনুর রশিদ মামুনকে দেখতে পারলেই এ এলাকার রাজনীতিতে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসনে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোকে সুসংগঠিত রাখতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ২০২৪ সালের ৫ জুলাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকার পতনের পর উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীরা যেন কোনো ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়েন, সে জন্য তিনি বলিষ্ঠ ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছেন। তাঁর এই তৎপরতা স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

দীর্ঘদিন ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মামুনুর রশিদ মামুন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সর্বশেষ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য।

রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা মামুনের বড় ভাই শামীম উজ্জামান শামীম ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত চাটখিল উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ইতালি বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। এছাড়া ছোট বোন হাসিনা খানম স্বপনা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল থেকে চাটখিল কলেজ ছাত্র সংসদে একমাত্র নির্বাচিত সদস্যা ছিলেন।

বিএনপির তৃণমূল কর্মীদের মতে, ছাত্রদল থেকে জাতীয় রাজনীতিতে উঠে আসা এই নেতা সব সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখে পাশে থেকে তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আসছেন। তাঁর সততা, ত্যাগ এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণে তিনি শুধু দলীয় কর্মীদের মধ্যেই নয়, সাধারণ ভোটারদের কাছেও সমানভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ফলে নোয়াখালী-১ আসনের আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মামুনুর রশিদ মামুনের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যেই জোর আলোচনা চলছে।

নোয়াখালীর চাটখিল-সোনাইমুড়ি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আলোচনায় আছেন মামুনুর রশীদ মামুন। তিনি বৈশ্বিক মহামারী করোনা চলাকালীন তিনি অসুস্থ রোগীদের জন্য বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান করেন। বন্যা দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন। শীতকালে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ, ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পের আয়োজন, বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম, নিরাপদ পানির ফিল্টার ও পানির কল স্থাপনসহ নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। পাশাপাশি কুইজ প্রতিযোগিতা, অসহায় ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং ড্রেন ও খাল-বিলের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তুলতে কাজ করেছেন।